টাঙ্গাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকশ মানুষ স্থানীয় এলাকার ভোটার না হওয়ায় বিভিন্ন সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে তাদের অনেক কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ফিরোজা বেওয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় পাকা দালান পাইছি, কিন্তু কোনো সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পাই না।
অনেক বয়স হওয়ায় অন্যের বাড়িতে কাজও করতে পারি না। আশপাশের লোকজনের কাছে খাবার চাইয়া পাইলে খাই, না পাইলে অনাহারে থাকি। দুই ঈদে সরকারি কোনো সহযোগিতাও পাই নাই। এই এলাকার ভোটার না হওয়ায় মেম্বার-চেয়ারম্যান সহযোগিতা করে না। বয়স্ক অথবা বিধবাভাতার কার্ডের জন্য কাকুয়ার মেম্বার চেয়ারম্যানের পেছনে ছুটেছেন তিনি।
টাকা দিতে না পারার কারণে ভাতার কার্ড পাননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র জানায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ১ম পর্যায়ে টাঙ্গাইলের ১২ উপজেলায় ১ হাজার ১৭৪টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ১৩০টি ঘর ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। সরেজমিন সদর উপজেলার চিলাবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার বাসিন্দারা যার যার কাজে ব্যস্ত।
তবে প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে একাধিক উপকারভোগী তাদের ঈদের মধ্যে তো কোনো সহযোগিতা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করে বসেন। তারা জানান, স্থানীয় লোকজনদের চাল, ডাল ও নগদ টাকা দেওয়া হলেও তারা কোনো কিছু পায়নি। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিসহ ঘরপ্রাপ্তরা ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
তাদের ভোটার না হওয়ার কারণে সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য সব ইউএনওকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে তাদের সবাইকে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় ভোটার করে নেওয়ার জন্য ইউএনওদের বলা হয়েছে। নির্বাচন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অতিশিগগিরই তাদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করা হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।